প্রকাশিত: Sat, Mar 25, 2023 3:59 AM
আপডেট: Sun, Dec 7, 2025 12:52 AM

গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছাল, টুইট করে রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দোপাধ্যায়

সালেহ্ বিপ্লব: মমতা টুইটে লিখেছেন, ‘গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছল। যেখানে অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপি নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন, সেখানে বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার অপরাধে!

রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর পরই এই টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। 

আনন্দাবাজার পত্রিকা লিখেছে, তিক্ততা ভুলে লোকসভা থেকে বরখাস্ত রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে মমতা বা অভিষেক, কেউই রাহুলের নাম নেননি। তবে জোড়া টুইটের সময় দেখে মনে করা হচ্ছে, নাম না করলেও রাহুলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক।

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক টুইটে লেখেন, ‘গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটি।


কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কে ইদানীং টানাপড়েন চলছিল। যার শুরু সেই গোয়া ভোটের সময় থেকে। পরবর্তী কালে তা ক্রমশ তিক্ত থেকে তিক্ততর হয়েছে। সম্প্রতি কালীঘাটের বৈঠকে কংগ্রেস নিয়ে তৃণমূল ‘নীতি’ স্থির করে। রাহুল গান্ধীকেও সরাসরি আক্রমণের পথে গিয়েছে তৃণমূল। সংসদে কংগ্রেস এবং কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ বিরোধী দলগুলির বৈঠকেও দেখা যায়নি তৃণমূলকে। মোদী বিরোধী পরিসরে নিজের মতো করেই ‘একলা’ আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভার স্পিকার রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করতেই তিক্ততা ভুলে তার পাশে দাঁড়ালেন মমতা, অভিষেক। তাহলে কি রাহুলকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বিরোধী পরিসরে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে কাছাকাছি এনে দিল? সেই প্রশ্ন উঠছে। সম্পাদনা: এল আর বাদল